মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার – মোবাইল কেনার আগে করনীয়

মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার – মোবাইল কেনার আগে করনীয়

প্রিয় পাঠক মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার সে সম্পর্কে আজ আমরা আলোচনা করব। যতদিন যাচ্ছে মোবাইল কেনার আগ্রহটা মানুষের অনেক বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার আমরা সেই বিষয়ে অনেকেই জানিনা। মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার ও মোবাইল কেনার আগে করনীয় সে সম্পর্কে না জানলে আপনি ঠকতে পারেন।

 

এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা আরোও আলোচনা করব মোবাইল কেনার আগে করনীয় কি? প্রসেসর, স্টোরেজ, ডিসপ্লে, র‍্যাম, ক্যামেরা ও ব্যাটারি সম্পর্কে।

 

কোন ধরনের মোবাইল কিনব

বেশ কিছু মোবাইল কেনার নিয়ম রয়েছে। মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তার আগেও জানা দরকার আমি কেন মোবাইল কিনব?মোবাইল কেনার আগে করনীয় হলো যে আমি কোন কাজে মোবাইল ব্যবহার করব গেম খেলব নাকি ফটোগ্রাফার করবো। আপনি যদি গেম খেলার জন্য মোবাইল কিনে থাকেন তাহলে আপনাকে চারটি বিষয়ের দিকে নজর দিতে হবে।
  • প্রসেসর
  • স্টোরেজ
  • র‍্যাম
  • ডিসপ্লের
আবার অনেকের প্রধান উদ্দেশ্য থাকে ফটোগ্রাফার করা টিক টক ভিডিও তৈরি করা তাদের মোবাইল কেনার আগে করনীয় এই তিনটি বিষয় উপরে খুবই ভালো ভাবে নজর হবে।
  • ক্যামেরা
  • স্টোরেজ
  • সফটওয়্যার অপ্টিমাইজেশন
মোবাইল কেনার আগে করনীয় এই সকল বিষয়ের উপর আপনার সঠিকভাবে নজর রাখতে হবে। আশা করি মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার বুঝতে পেরেছেন।

মোবাইলে কোন ধরনের প্রসেসর সবচেয়ে ভালো

মোবাইল কেনার আগে করনীয় হল প্রসেসর বাছাই করা। এই প্রসেসর কে স্মার্টফোনের মস্তিষ্ক/ব্রেইন বলা হয়। মোবাইলের জন্য ভালো প্রসেসর বাছাই করা তিনটি সহজ উপায় রয়েছে। মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার প্রসেসরের ক্ষেত্রে তা নিচে দেওয়া হলঃ
কোরসংখ্যা
“Cores” প্রসেসরে কার্য ক্ষমতা। যে প্রসেসরের “Cores” সংখ্যা যত বেশি তার কার্যক্ষমতা বেশি।
বর্তমান মোবাইল জন্য ,ডুয়াল(dual) কোর মানে দুইটা কোর, কোয়াড(quad) কোর মানে ৪ টি কোর এবং অক্টা (octa) কোর মানে ৮ টি কোর এই তিনটি পাওয়া যায়। তাই আপনার মোবাইল কেনার আগে করনীয় হলো কোন “Cores” এর মোবাইলটি নিবেন।
ক্লকস্পীড
যাদের গেমিং টা প্রধান উদ্দেশ্য তাদের ক্লক স্পিডের দিকে বেশি নজর দিতে হবে। যে সকল মোবাইলের ক্লক স্পিড যত বেশি তার পারফরম্যান্স ক্ষমতা তত বেশি। অনেকে ক্লকস্পীড বললে সে বুঝবে না আমি কিসের কথা বলছি। ক্লকস্পীডকে গিগাহার্জ এককে প্রকাশ করা হয়। মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার প্রসেসরের ক্ষেত্রে বুঝতে পেরেছেন।
 
ন্যানোমিটার প্রযুক্তি
মোবাইলের জন্য ম্যানোমিটার প্রযুক্তির প্রসেসর গুলো খুবই ভালো। ন্যানোমিটার প্রযুক্তি যত কম হবে এর পারফরম্যান্স যতো ফাস্ট হবে। এবং ব্যাটারি অনেক ব্যাকআপ দিবে।

মোবাইলে কতটুকু স্টোরেজ থাকলে ভালো হয়

মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মোবাইলের স্টোরেজ। এখন প্রশ্ন আসতে পারে আমরা কতটুকু স্টোরেজের মোবাইল নিব। এজন্য মোবাইল কেনার আগে মোবাইল কেনার নিয়ম গুলো সঠিকভাবে জেনে নেওয়া আমাদের উচিত। আমরা মনে করি মোবাইলের স্টোরেজ যত বেশি হবে সেই মোবাইলটা তত ভালো। আমাদের এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল।মোবাইল কেনার আগে করনীয় হলো মোবাইল স্টোরের উপর সঠিক জ্ঞান রাখা।
EMMC টাইপের স্টোরেজ ভালো অনেক পুরনো ভার্সন। EMMC ধরণের স্টোরেজ টাইপের পারফোম্যান্স তুলনামূলক ভাবে অনেক খারাপ। তাছাড়া UFS টাইপের স্টোরেজে অনেক ফিচার সাপোর্ট করে। UFS টাইপের স্টোরেজ মোবাইল গুলো অনেক ভালো পারফরম্যান্স করে। স্টেজের ক্ষেত্রে মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার তা একটি ছখ নিচে দেওয়া হলঃ

Storage Type

Read speed

Write Speed

UFS 3.1

2100 MBPS

1200 MBPS

UFS 3.0

1260 MBPS

840 MBPS

UFS 2.1

860 MBPS

255 MBPS

EMMC 5.1

350 MBPS

155MBPS

 

মোবাইলে কি ধরনের র‍্যাম নেবো

মোবাইল কেনার আগে করনীয় হলো র‍্যাম নির্ধারণ করা। আমাদের সকলের মধ্যে একটি ভুল ধারণা আছে একটি হলো আমরা মনে করি র‍্যাম এর জিবি যত বেশি হবে মোবাইলের পারফরমেন্স ততই বেশি হবে কিন্তু এটি সঠিক নয়। র‍্যাম এর ধারণ ক্ষমতা যত বেশি তার পারফরম্যান্সে ততো বেশি। নিচের র‍্যাম এর ধারণ ক্ষমতা একটি ছক দেওয়া হলোঃ

র‍্যামের ধরণ

স্পীড

ভোল্টেজ

LP- DDR5

6400 MBPS

0.5v

LP- DDR4X

4267 MBPS

0.6V

LP- DDR4

3200 MBPS

1.1V

LP- DDR3

1866 MBPS

1.2V

যদি আপনার মোবাইলের র‍্যাম ৮ জিবি আর র‍্যামের ধরণ LP- DDR4 হয় তাহলে স্পীড হবে (3200×8) = 25600 MBPS। আর অন্য মোবাইলের র‍্যাম যদি ৪ জিবি হয় আর র‍্যামের ধরণ যদি LP-DDR5 হয় তাহলে স্পীড হবে (6400×4) =25600 MBPS। র‍্যামের ধরণের কারণে ৮ জিবি র‍্যাম আর ৪ জিবি র‍্যামের স্পীড সমান হয়ে যাবে। মোবাইল কেনার আগে করনীয় হলো মোবাইল কেনার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে।

মোবাইলের কোন ক্যামেরা সবচেয়ে ভালো

আমাদের ফটোগ্রাফির জন্য মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার। মোবাইল কেনার টিপস গুলো যদি আপনাদের সঠিকভাবে জানা না থাকে তাহলে আপনাদের মোবাইল কোম্পানিগুলো বড় রকম ভাবে ঠকিয়ে দিতে পারে। আমরা মনে করি মোবাইলের ক্যামেরার মেগাপিক্সেল যত বেশি হবে ছবি তত ভালো হবে কিন্তু এই ধারাটা সম্পূর্ণই ভুল। মোবাইলের মেগাপিক্সেল বেশি এটা ভালো কিন্তু ছবি ভালো হবে এর কোন মানে নাই।
ক্যামেরার মেগাপিক্সেল বেশি হলে ছবি অনেক বড় হবে ফাটবে না। ভালো ছবি নির্ভর করে ক্যামেরার লেন্স, সেন্সর ও সফটওয়্যার অপটিমাইজেশন এর উপর। এই ৩টি বিষয়ের উপর লক্ষ্য করার মাধ্যমে মোবাইলের জন্য সবচেয়ে ভাল ক্যামেরা বেছে নিতে হবে। আর ফটোগ্রাফি যাদের প্রধান উদ্দেশ্য তাদের অবশ্য করণীয় হল ক্যামেরা, স্টোরেজ সেকশনে নজর দেওয়া। আশা করি মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার – মোবাইল কেনার আগে করনীয় বুঝতে পেরেছেন।

লেখকের বক্তব্য

প্রিয় পাঠক আশা করি আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন পড়েছেন এবং মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার – মোবাইল কেনার আগে করনীয় এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। আশা করি এরকম প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। মোবাইল কেনার আগে যা জানা দরকার – মোবাইল কেনার আগে করনীয় এর মত সকল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট টি ফলো ফলো করুন, ধন্যবাদ।

Post Comment

You May Have Missed