কোর্ট ম্যারেজ করার নিয়ম -কোর্ট ম্যারেজ এর খরচ কত ২০২৪
কোর্ট ম্যারেজ বলতে সাধারণত বাংলাদেশে আইনগতভাবে বিয়েকে বোঝায়। এটি একটি আইনি প্রক্রিয়া যাতে বর ও কনে তাদের বিয়ে নিবন্ধন করে। কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য বর ও কনেকে অবশ্যই প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে এবং তাদের মধ্যে সম্মতি থাকতে হবে।
কোর্ট ম্যারেজ করতে নিম্নলিখিত কাগজপত্রগুলি লাগে:
- আবেদনপত্র: কোর্ট ম্যারেজের জন্য একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হয়। এই আবেদনপত্রটি আদালতের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যায়।
- প্রয়োজনীয় ফি: আদালতের ফি এবং আবেদনপত্রের ফি।
- বর ও কনের 4টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি: ছবিগুলি অবশ্যই সাম্প্রতিক হতে হবে এবং ছবিগুলিতে বর ও কনের স্বাক্ষর থাকতে হবে।
- বর ও কনের পরিচয় প্রমাণ: বর ও কনের পরিচয় প্রমাণ হিসেবে আধার কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড, পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ইত্যাদির কপি জমা দিতে হয়।
- বর ও কনের বয়সের প্রমাণ: বর ও কনের বয়সের প্রমাণ হিসেবে জন্ম নিবন্ধন সনদ, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ইত্যাদির কপি জমা দিতে হয়।
- বর ও কনের বিবাহের সম্মতি: বর ও কনের বিবাহের সম্মতি হিসেবে একটি প্রত্যয়নপত্র জমা দিতে হয়। এই প্রত্যয়নপত্রটি বর ও কনের স্থায়ী ঠিকানার থানা বা কমিশনারেট থেকে নেওয়া যেতে পারে।
কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়:
- আবেদনপত্র পূরণ করুন: প্রথমে আদালতের ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করুন এবং তা পূরণ করুন। আবেদনপত্রে বর ও কনের নাম, ঠিকানা, জন্ম তারিখ, ধর্ম, পেশা ইত্যাদি তথ্য সঠিকভাবে পূরণ করুন।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করুন: আবেদনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপি জমা দিতে হয়। কাগজপত্রগুলি অবশ্যই সত্যায়িত হতে হবে।
আবেদনপত্র ও কাগজপত্র আদালতে জমা দিন: আবেদনপত্র ও কাগজপত্র আদালতে জমা দিন এবং ফি পরিশোধ করুন।
বিবাহ নিবন্ধক কর্তৃক বিবাহের তারিখ নির্ধারণ: বিবাহ নিবন্ধক বর ও কনের সাথে সাক্ষাৎ করে বিবাহের তারিখ নির্ধারণ করবেন।
নির্ধারিত তারিখে বিবাহ অনুষ্ঠান: নির্ধারিত তারিখে বর ও কনে উপস্থিত হয়ে বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করবেন।
বিবাহ নিবন্ধন: বিবাহ অনুষ্ঠানের পর বিবাহ নিবন্ধক বিবাহের রেজিস্টার তৈরি করবেন এবং বর ও কনেকে বিবাহ নিবন্ধনপত্র প্রদান করবেন।
কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলি সংগ্রহ করতে কিছু সময় লাগতে পারে। তাই, কোর্ট ম্যারেজ করার আগে সময়মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলি সংগ্রহ করে রাখুন।
কোর্ট ম্যারেজ এর খরচ কত
কোর্ট ম্যারেজ এর খরচ সাধারণত 500 থেকে 1000 টাকার মধ্যে হয়ে থাকে। এই খরচের মধ্যে আদালতের ফি, আবেদনপত্রের ফি, এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপির ফি অন্তর্ভুক্ত থাকে।
কোর্ট ম্যারেজ এর খরচের মধ্যে যা যা অন্তর্ভুক্ত থাকে
- আদালতের ফি
কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য আদালতে একটি আবেদনপত্র জমা দিতে হয়। এই আবেদনপত্রের ফি প্রতিটি রাজ্যে আলাদা আলাদা হয়ে থাকে। সাধারণত এই ফি 500 থেকে 1000 টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
- আবেদনপত্রের ফি
কোর্ট ম্যারেজের জন্য একটি আবেদনপত্র পূরণ করতে হয়। এই আবেদনপত্রের ফি সাধারণত 200 থেকে 500 টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
- প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ফটোকপির ফি
কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রগুলির ফটোকপি জমা দিতে হয়। এই ফটোকপির ফি সাধারণত 50 থেকে 100 টাকার মধ্যে হয়ে থাকে।
কোর্ট ম্যারেজ এর সুবিধা
কোর্ট ম্যারেজের বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল:
- আইনগত স্বীকৃতি
কোর্ট ম্যারেজ আইনগতভাবে স্বীকৃত। এর মানে হল যে কোর্ট ম্যারেজ করার পর বর ও কনে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বিবেচিত হবেন। এই স্বীকৃতির ফলে বর ও কনে নিম্নলিখিত সুবিধাগুলি পাবেন: * তারা একে অপরের সম্পত্তির অধিকারী হবেন। * তারা বিবাহ বিচ্ছেদ করতে পারবেন। * তারা সন্তান গ্রহণ করতে পারবেন। * তারা চিকিৎসাগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে একে অপরের সম্মতি প্রয়োজন হবে।
- বিবাহ বিচ্ছেদের অধিকার
কোর্ট ম্যারেজের পর যদি বর ও কনে বিবাহ বিচ্ছেদ করতে চান, তাহলে তারা আইনের মাধ্যমে তা করতে পারবেন। বিবাহ বিচ্ছেদের মাধ্যমে তারা একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যেতে পারবেন এবং তাদের মধ্যে বিদ্যমান সম্পত্তি ও অন্যান্য বিষয়গুলির বণ্টন করতে পারবেন।
- সম্পত্তির অধিকার
কোর্ট ম্যারেজ করার পর বর ও কনে একে অপরের সম্পত্তির অধিকারী হবেন। এর মানে হল যে বর ও কনের মৃত্যুর পর তাদের সম্পত্তি একে অপরের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে বণ্টন করা হবে।
- সামাজিক স্বীকৃতি
সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, কোর্ট ম্যারেজ সামাজিকভাবেও বেশি স্বীকৃতি পাচ্ছে। অনেক পরিবার এখন তাদের সন্তানদের কোর্ট ম্যারেজ করার অনুমতি দিচ্ছে।
- অল্প সময় ও খরচে বিয়ে করা
কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য খুব বেশি সময় ও খরচের প্রয়োজন হয় না। সাধারণত, কোর্ট ম্যারেজ প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে এক থেকে দুই মাস সময় লাগে এবং খরচ হয় 500 থেকে 1000 টাকার মধ্যে।
শেষ কথা
আশা করি আজকের আর্টিকেল টি বুঝতে পেরেছেন । কোর্ট ম্যারেজ বিষয়ে আর যদি কোন কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট এ লিখুন ।
Post Comment