নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি
প্রিয় পাঠকগণ নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি? এ বিষয় সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি এ সম্পর্কে জানেনা। চলুন তাহলে আর দেরি না করে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
পৃথিবীর প্রায় সকল জায়গায় নেটওয়ার্কের ব্যবহার করা হয়। একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি আজকের আর্টিকেলে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
সূচিপত্রঃ নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি
ভূমিকা
আজকের আর্টিকেলে আমরা জানব নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি। অ্যাডাপ্টার বলতে পাওয়ার সাপ্লাই, ওয়াইফাই, চার্জার, নেটওয়ার্ক, ব্লুটুথ কানেক্টর ইত্যাদি বিভিন্ন ডিভাইস কে বোঝায়। নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার ছাড়া আমরা কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করতে পারবো না। নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করে আমরা খুব সহজেই নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত হয়ে বিভিন্ন ধরনের কাজ সম্পাদন করতে পারি।
নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার কি
নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি এ বিষয় নিয়ে আজকে আমাদের এই আর্টিকেল। নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার হলো কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ব্যবহৃত একটি ডিভাইস। এর সাহায্যে একটি কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত করা হয়। অর্থাৎ একটা কম্পিউটারকে সোজাসুজি নেটওয়ার্কের সাথে জুড়ে দেওয়া যায় না। সেটা করার জন্য কম্পিউটারের সাথে একটা নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড লাগাতে হয়। এ নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড হচ্ছে নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার।
এটি একটি ল্যান সংযোগের মাধ্যমে অন্য কম্পিউটার, সার্ভার বা কোনও নেটওয়ার্কিং ডিভাইসের সাথে সংযুক্ত স্থাপনের জন্য একটি কম্পিউটারকে সক্ষম করে। একটি নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার একটি তার যুক্ত বা ওয়ারলেস নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে ব্যবহার করা যেতে পারে। নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের আরো এ বিষয়ে জানতে হবে।
নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার এর কাজ কি
যে কোন তড়িৎ বা নেটওয়ার্কিং সিগন্যালকে এক রূপ থেকে অন্যরূপে বা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক গতি থেকে অন্য গতিতে ড্রপ বা শেয়ার করা ডিভাইসকে অ্যাডাপ্টার বলা হয়। হতে পারে সেটা পাওয়ার এডাপ্টার বা নেটওয়ার্কিং অ্যাডাপ্টার। নেটওয়ারকিং অ্যাডাপটার এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসের ডেটা ট্রান্সমিট করে সংযোগ স্থাপন বা শেয়ার করে।
একজন কম্পিউটার ব্যবহারকারী কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে ফাইল, প্রিন্টার অন্যান্য সম্পদ ভাগাভাগি করে ব্যবহার করতে পারেন, একে অপরের কাছে বার্তা পাঠাতে পারেন এবং এক কম্পিউটারে বসে অন্য কম্পিউটারে প্রোগ্রাম চালাতে পারেন। একটি ডিভাইস আরেকটি সাথে যোগাযোগ করার প্রথম ধাপটি শুরু হয় নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড থেকে।
নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড ওএসআই রেফারেন্স মডেলের ডাটা লিঙ্ক লেয়ারে কাজ করে। ইতোমধ্যে আপনারা জানতে পারলেন নেটওয়ার্কের অ্যাডাপ্টার কাজ কি। আজকের এই নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি বিষয়টির মধ্যে নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার কাজ কি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম।
নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি
নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি এর কোন অন্য নাম নাই। নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি এই বিষয় নিয়ে আজকে আমাদের এই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি। অ্যাডাপ্টার এর অনেকগুলো ভাগ বা নাম আছে। কিন্তু নেটওয়ার্ক এডপটার নামে পরিচিত কোনটি এরকম কোন বিশেষ নাম নেই। তবে অ্যাডাপ্টার সাধারণত দুই প্রকার হয় পাওয়ার অ্যাডাপ্টার এবং নেটওয়ার্কিং অ্যাডাপ্টার। পাওয়ার অ্যাডাপ্টার এর আবার অনেকগুলো ভাগ আছে।
যেমন-এসিডিসি অ্যাডাপ্টার, রেগুলেটর অ্যাডাপ্টার, ভোল্টেজ এডাপটার ইত্যাদি। নেটওয়ার্কিং অ্যাডাপ্টার কেউ কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন-ওয়াইফাই অ্যাডাপ্টার, শেয়ারইট অ্যাডাপ্টার, ডিভাইস অ্যাডাপ্টার ইত্যাদি। যে অ্যাডাপ্টার এর মাধ্যমে নেটওয়ার্কিং করা হয় বা ডেটা ট্রান্সমিট করা হয় তাকে নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার বলে।
নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার অন্য কোন নাম নাই। নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি এই ধাপটিতে আমরা জানতে পারলাম নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার ভাগসমূহ সম্পর্কে। নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি এ ধাপটিতে আমরা অ্যাডাপ্টার এর ভাগ সম্পর্কে জানতে পারলাম।
অ্যাডাপ্টার কিভাবে তৈরি করে
নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি এই নিয়ে আমাদের আজকের এই আর্টিকেল। ইতিমধ্যে আমরা এই আর্টিকেলটি সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পেরেছি। এইবার জানবো অ্যাডাপ্টার কিভাবে তৈরি করে। ইলেকট্রনিক ও ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস বা সার্কিট চালানোর জন্য যে অ্যাডাপ্টার ব্যবহার করা হয় তা আগে তৈরি করা হতো ট্রান্সফর্মার, ডায়োড, ক্যাপাসিটর রেগুলেটর আইসি এবং ভ্যারিয়েবল রেজিস্টর ব্যবহার করে।
যেটা বর্তমানে আধুনিক এস.এম.পি.এস পাওয়ার অ্যাডাপ্টার এর তুলনায় অনেক খারাপ সার্ভিস দিত। এখন প্রায় সব অ্যাডাপ্টার তৈরি করা হয় এস.এম.পি.এস পাওয়ার বা সুইচিং মোড পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করে। যা অনেক নিরাপদ পাওয়ার সাপ্লাই।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ডিসকর্ড সার্ভার একাউন্ট তৈরি করবেন
এস.এম.পি.এস পাওয়ার সাপ্লাই নিরাপদ বলার কারণ হলো যদি কোনো কারণে পাওয়ারের সমস্যা হয়, তাহলে সারকিটে কোন ভোল্টেজ পাস হয় না সার্কিট নিরাপদ থাকে। এমনকি পাওয়ার সাপ্লাই নষ্ট হলেও কোন ভোল্টেজ বা হাইভোল্টেজ সার্কিটে যেতে পারে না। কিন্তু আগের ফর্মুলায় তৈরি এডাপটার অনেক বেশি টেকসই এবং ভারী হয়ে থাকে অপরপক্ষে এস.এম.পি.এস পাওয়ার সাপ্লাই তত বেশি টেকসই নয় এবং অনেক হালকা হয়ে থাকে।
আশা করি, আমাদের আজকের এই নেটওয়ার্ক অ্যাডাপ্টার নামে পরিচিত কোনটি বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। বর্তমান যুগের জন্য নেটওয়ার্কে অ্যাডাপ্টার সম্পর্কে জানা অত্যন্ত জরুরী।
এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে আমাদের ওয়েবসাইট অর্ডিনারি আইটি ভিজিট করতে পারেন।
আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।২৪১৪২
Post Comment